"মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।মুক্তিযোদ্ধা তথা জাতির বীর সন্তানেরা কোন পরিবার বা গোষ্ঠীর নয় তারা পুরো বাঙ্গালী জাতির অহংকার । "

নেত্রকোণা জেলায় স্বাধীনতা যুদ্ধের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শামছুজ্জোহা । এই নক্ষত্রের উদয় ঘটেছিল ১৯৩৮ সালে। পিতা নূরুজ্জামান মাস্টার এবং মাতা হাতেমুন্নেছার ঘরে জন্ম, স্ত্রীঃ….।তিনি তিন কণ্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে একজন অর্থীনীতিবিদ।
শিক্ষাজীবন
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: শামছুজ্জোহা দত্ত হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করার পর তিনি নেত্রকোণা কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা লিটারেচার বিষয়ে ।
রাজনৈতিক জীবন
নেত্রকোণা জেলার অন্যতম রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং তৎকালীন ময়মনসিংহ আসনের (নেত্রকোণা মহকুমা) সংসদ সদস্য সর্বজনাব আব্দুল খালেক, সত্যকিরণ আদিত্য, ফজলুর রহমান খান, মেহের আলী গাজী মোশারফ হোসেন, ওয়াজেদ আলী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ চেষ্টা করছিলেন এই অঞ্চলেও আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলতে। সেজন্য কয়েকজন তরুণকে যুক্ত করেন। এর মধ্যে মোঃ শামসুজ্জোহা অন্যতম। এই আন্দোলনই ছিল উনার রাজনীতিতে হাতেখড়ি এবং ছাত্ররাজনীতিতে প্রবেশ করার প্রথম অধ্যায়। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন তরুণদের অনুপ্রেরণা ও প্রাণের নেতা। জনাব শামসুজ্জোহার ছাত্রলীগে যোগদানের বিষয়টিও একটি চমকপ্রদ ইতিহাস। ১৯৬১ সালে নেত্রকোণার তৎকালীন সর্বদলীয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের সংগঠন "ছাত্রসংস্থা"-র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উদ্যেক্তা অত্যন্ত জনপ্রিয় ছাত্রনেতা জনাব মেহের আলী(কিংবদন্তী ছাত্রনেতা জনাব মেহের আলী ১৯৬০ সালে সর্বজনাব জামাল উদ্দিন আহমেদ, গাজী মোশারফ হোসেন, টি.এ রহমত উল্লাহ, নুর“ল ইসলাম, লুৎফর রহমান খান, আব্দুস সাত্তার প্রমুখ নেতাদের নিয়ে "ছাত্রসংস্থা"-গড়ে তুলেন -ঐ সময় দেশে সামরিক আইনের কারনে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তাই এই গোপন সংগঠনটি গড়ে তোলা হয় যার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হতো ) ও জনাব শামসুজ্জোহাকে ডেকে আওয়ামীলীগ নেতা জনাব আব্দুল খালেক একটি হাতে লেখা চিঠি দিয়ে সরাসরি বঙ্গবন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেন। এই দুই ছাত্রনেতা নবাবপুর রোডে এক হোটেলে থেকে দেখা করতে যান বঙ্গবন্ধুর আলফা বীমা কোম্পানীর অফিসে। বিশাল এক সেক্রেটারিয়েট টেবিল নিয়ে বসে আছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান । এত বড় মাপের একজন নেতাকে দেখে তাঁরা উভয়েই কিছুটা ঘাবরে যান। বঙ্গবন্ধু বসতে বললেও তাঁরা দাঁড়িয়ে থাকলেন। এক পর্যায়ে খালেক সাহেবের চিঠিটি মেহের আলী সাহেব বঙ্গবন্ধুর হাতে বিনয়ের সাথে তুলে দেন। বঙ্গবন্ধু চিঠিখানি পড়ে একজনকে ডাকলেন এবং তাদেরকে কেক এবং চা দিতে বললেন। এ পর্যায়ে তাঁরা জড়সড় হয়ে চেয়ারে বসেন। বঙ্গবন্ধু একটি চিরকুট দিয়ে তাঁদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে তৎকালীন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব শেখ মনি সাহেবের কাছে পাঠিয়ে দেন। মনি সাহেব তাঁদেরকে বলেন, ‘তোমরা সন্ধ্যার পর আসো। দেশে রাজনীতির যে কড়াকড়ি অবস্থা, দিনের বেলায় তোমাদের সাথে কথা বলা যাবে না’। কথামত তাঁরা ঐ দিন সন্ধ্যার পর মনি ভাইয়ের কক্ষে আসেন। মনি ভাই তাঁদেরকে অতি গোপনে ছাত্রলীগের আদর্শ-উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন এবং তাঁদেরকে কয়েকটি প্যাম্পলিট প্রদান করে বলেন, খুব সাবধানে নেত্রকোণায় নিয়ে যাবে। ধরা পড়লে নির্ঘাত ছয় মাসের জেল। প্যাম্পলিটের উপরে লেখা ছিলো একটি স্লোগান; যথা- ‘শিক্ষা-শান্তি-প্রগতি’। এগুলো নিয়ে তাঁরা নেত্রকোণায় এসে কার্বন কপি করে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের মাঝে অতি গোপনে বিতরণ করেন।
১৯৬২ সালে নেত্রকোনা মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জনাব মেহের আলী ও জনাব শামসুজ্জোহাকে প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী করে কমিটি করে দেয়া হয়(জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন পূর্বপাকিস্তান আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন)। শুরু হয় নেত্রকোণায় ছাত্রলীগের অভিযাত্রা। পরবর্তীতে একসময় জনাব শামসুজ্জোহা নেত্রকোণা ছাত্রলীগের সভাপতির(১৯৬৯-৭০ ) পদ অলংকৃত করেন এবং পরবর্তীতে আওয়ামী রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে নেত্রকোণা জেলা শাখার সভাপতি (২০০৫)হন। এর পরের ইতিহাস সকলের জানা। এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। তখনখার সময়ে নেত্রকোণায় রাজনীতির পাশাপাশি যাঁরা সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলছিলেন, তাঁদের মধ্যে জনাব মেহের আলী,সত্যকিরণ আদিত্য অন্যতম। নেত্রকোণায় তখন ছাত্র রাজনীতি দুটি প্রধান ধারায় অগ্রসর হ”হচ্ছিলো।একটি হলো বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এবং অপরটি হলো ন্যাপ-কমিউনিস্টদের ছাত্র ইউনিয়ন। ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের সময় তিনি সদ্য কলেজ পাশ করা ছাত্র। আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। মিছিল-মিটিংয়ে নেত্রকোণা তথা সারা বাংলাদেশ তোলপাড়। মিছিলের পর মিছিল, স্লোগানের পর স্লোগান। স্কুল-কলেজের ছাত্ররা বেপরোয়া। ‘পিন্ডি না ঢাকা- ঢাকা ঢাকা, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘পুলিশ তুমি যতই মার, বেতন তোমার এক শ বারো’-এমন স্লোগানে তখন চারপাশ মুখরিত। সেসময় তিনি তরুণ ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। ১৯৬৯ সালে তাঁর ছাত্রলীগের সভাপতি পদে অভিষেক হয়। জয়বাংলার একনিষ্ঠ কর্মী, মিছিলের অগ্রভাগের বজ্রকণ্ঠ ছিলেন তিনি। হয়ে ওঠেন এক তুখোড় ছাত্রনেতা।
সংস্কৃতি
১৯৬৩ সনের জানুয়ারি মাসে মধুমাছি কচিকাঁচার মেলা গঠিত হলে মেলার প্রধান উদ্যেক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক জনাব মেহের আলী জনাব শামসুজ্জোহাকে প্রতিষ্ঠাতা আহ্ববায়ক ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আয়েশা খানমকে আহ্ববায়িকা করে কমিটি গঠন করে দেন। মেলার পরিচালক হিসেবে ছিলেন জনাব এডভোকেট একে ফজলুল কাদের, আর উপদেষ্টা মন্ডলীতে ছিলেন- সর্বজনাব এন আই খান,জনাব আব্দুল খালেক, জনাব খালেকদাদ চৌধুরী, ডা. জগদীশ দত্ত, এডভোকেট ফজলুর রহমান খান,মাওলানা ফজলুর রহমান খান,হাবিবুর রহমান খান প্রমুখ।
সমাজসেবা
রাজনীতি ও সংস্কৃতির পাশাপাশি পরবর্তী কালে তিনি নেত্রকোণায় সমাজসেবা কার্যক্রমে ব্যাপকভাবে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি নেত্রকোণা কো-অপারেটিভ ব্যাংক, মালটিপারপাস কো-অপারেটিভ এসোসিয়েশন এর সভাপতি হয়েছিলেন এবং এক পর্যায়ে রেডক্রস নেত্রকোণা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এমনকি নেত্রকোণা চক্ষু হাসপাতাল স্থাপনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধ
১৯৭১ সালের সেই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মোঃ শামসুজ্জোহার নেতৃত্বে নেত্রকোণায় তৈরি হয় বাংলাদেশ প্রতিরোধ যুদ্ধ দিবস। বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, পাকিস্তানের পতাকা পোড়ানো ও কুচকাওয়াজ, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া ও ছয় রাউন্ড ফাঁকাগুলি করা সহ বিভিন্ন রকমের আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে মোক্তারপাড়া মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিরোধ যুদ্ধ দিবস। উল্লেখ্য, মোক্তারপাড়া মাঠে প্রথম পতাকা উত্তোলন করেছিলেন জনাব এন আই খান। সাল ১৯৭১। জয় বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত চারদিক। 'বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর' এই মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলার আপামর জনতা। এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে মোঃ শামসুজ্জোহা ইন্ডিয়ার তুরা থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে উইং কমান্ডার হয়ে তিনটি কোম্পানীকে সাথে নিয়ে বাঘমারা হয়ে বাংলাদেশে আসেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশ নেন। এই সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্ণেল তাহের এবং নেত্রকোণা অঞ্চলের যুদ্ধের নেতৃত্ব দিতেন ইন্ডিয়ান ক্যাপ্টেন মুরারী ও ক্যাপ্টেন চৌহান। মোঃ শামসুজ্জোহা যুদ্ধ করেছিলেন ক্যাপ্টেন মুরারী'র অধীনে । যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি এস. এম. জি. (শর্ট মেশিন গান) চালাতেন। দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলা শত্রুমুক্ত করার পেছনে উনার অবদান অনস্বীকার্য। দুর্গাপুর থেকে যুদ্ধ শুরু করে শত্রুমুক্ত করতে করতে এগিয়ে যান ময়মনসিংহের দিকে। তিনি প্রতিদিন স্বপ্ন দেখতেন এক স্বাধীন ভুখন্ডের, এক সোনার বাংলার। আর স্বপ্নের সিঁড়িতে ভর করে যাঁর পথচলা, সে তো হার না মানা গল্প দিয়েই ছিনিয়ে আনেন বিজয়মাল্য। তাইতো তিনি ফিরেছিলেন বিজয়ীর বেশেই। ময়মনসিংহ শত্রুমুক্ত করে ১৯৭১ সালে ১২ ডিসেম্বরে তিনি ফিরে আসেন তাঁর নিজের এলাকা নেত্রকোণায়। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে সেই বিজয়ই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন, সবচেয়ে বড় আনন্দ। এখানে উল্লেখ্য যে, মহেষখলাতে আওয়ামীলীগের অত্যন্ত সৎ ও নির্ভীক কর্মী,নেত্রকোনা মুক্তিসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য ও মহেষখলা ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য(ছাত্র ও যুবনেতাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত), জেলা শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উদ্যেক্তা এবং জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক'৭১ জনাব মেহের আলীকে ১৯৭১ সালের ১৭ই মে সেকান্দর নুরীর (যার বিরুদ্ধে বহু নিরপরাধ মানুষকে হত্যা,নির্যাতন,র্ধষন ও লুটের অভিযোগ ছিল।) লোকেরা হত্যা করে । মুক্তিযুদ্ধের খরচ ও যুদ্ধ পরিচালনার জন্যে জাতীয় প্রয়োজনে জয়বাংলা বাহিনীর প্রধান কোম্পানী কমান্ডার সাবেক আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শামসুজ্জোহার নেতৃত্তে বীরমুক্তিযোদ্ধা বুলবুল ইপিআর সদস্যসহ অন্যান্যদরকে নিয়ে পুলিশের অস্ত্রাগার ও ব্যাংক লুট করেন (“মুক্তিযুদ্ধে নেত্রকোনা” বইটিতে সাবসেক্টর কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন)। মেহের আলীকে হত্যার পরপরই বীরমুক্তিযোদ্ধা মো: শামসুজ্জোহা ও সাবেক আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলামকেও গ্রেফতার করা হয় হত্যার জন্যে। সৌভাগ্যক্রমে তারা প্রাণে বেচে যান। এই স্মৃতিটা আজো তাঁর অন্তরকে ব্যথিত করে। স্বাধীনতার পরপরই নেত্রকোনার বীরমুক্তিযোদ্ধারা মেহের আলীর হতাকারীদের ব্রাস ফায়ার করে হত্যা করে। এই বিষয়টির বর্ণনা জনাব খালেক চৌধুরী তাঁর অমর গ্রন্থ’ শতাব্দীর দুই দিগন্ত ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম এরশাদুর রহমানের মুক্তিসংগ্রাম বইয়ে উল্লেখ আছে। বর্ণনাটি নিম্নে তুলে ধরা হলো-“স্বাধীনতার অব্যাবহতি পর মোক্তার পাড়ার মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগ্রামী জনতার সমাবেশে বীরমুক্তিযোদ্ধারা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে নিখুজ মেহের আলীর সন্ধান চান এবং প্রিয় নেতাকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে বলেন।যদি ফিরিয়ে দেয়া না হয় তবে তারা নিজেরাই এর বিচার করবেন।এই সভাতেই ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তথা গোলাম এরশাদুর রহমান,হায়দার জাহান চৌধুরী, আশরাফ আলী খান খসরু প্রমুখ বীরমুক্তিযোদ্ধারা অফিসিয়ালি জানতে পারেন যে, জনাব মেহের আলী মহেষখলা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন কালে ১৭ ই মে ১৯৭১ সালে আততায়ীর গুলিতে শহীদ হয়েছেন।এই সংবাদ শোনার পর পরই বীরমুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং ঐ সভাতেই সিদ্ধান্ত হয় হত্যার বিচার করার। ঐ সভা থেকেই ৫০ জন বীরমুক্তিযোদ্ধার একটি দল হত্যাকারীর সন্ধানে বেড়িয়ে যায় এবং হত্যাকারীকে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে। এর মাধ্যমে বীরমুক্তিযোদ্ধারা নেত্রকোনার মাটিকে তাদের প্রিয় নেতার রক্তে কলংকিত হওয়ার হাত হতে রক্ষা করেন।
পুরষ্কার ও সম্মানণা
ষাটের দশকে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য “Bangladesh Muktijudho Research Institute Silver Award-2023” সম্মাননা প্রদানের জন্যে মনোনীত করা হয়।