২৭শে মার্চ - তরুণ সহকর্মী আমিরুল ইসলামকে নিয়ে তাজউদ্দিন আহমদ ঢাকা ত্যাগ করেন।
৩০শে মার্চ - ফরিদপুর ও কুষ্টিয়ার পথে সন্ধ্যায় পশ্চিম বাংলার সীমান্তে উপস্থিত হন তাজউদ্দীন আহমদ। সেখানে তিনি দেখতে পান, বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনাদের সমর্থনে ভারতের সামরিক ইউনিটসমূহের হস্তক্ষেপ করার কোন এখতিয়ার নেই। মুক্তিফৌজ গঠনের জন্য অস্ত্রশস্ত্র বরাদ্দ করার আবেদনের উত্তরে সীমান্তরক্ষীবাহিনী (BSF) প্রধান রুস্তমজী জানান, মুক্তিফৌজের প্রশিক্ষণ বেশ সময়সাপেক্ষ ব্যাপার এবঙ এই প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবার পরেই কেবল তাদের অস্ত্র সরবরাহের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; তবে এই প্রশিক্ষণ বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনযোদ্ধাদের দেয়া হবে কি না, এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের কথা তিনি জানেন না; এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, তাজউদ্দিন ইচ্ছুক হলে তাৎকে দিল্লীতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে মাত্র।
৩১শে মার্চ - ভারতীয় পার্লামেন্টে "পূর্ব বাংলার জনগণের সঙগ্রামকে সহায়তা করার" জন্য প্রস্তাব গৃহীত হয়।